বৈশাখকে ঘিরে বাঁশি তৈরিতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কুমিল্লার বাঁশি কারিগররা
সাকিব অাল হেলাল(কুমিল্লা):: বাংলা নববর্ষের শুরুতে কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। এসব মেলার একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে মাটির তৈরি ও বাঁশের তৈরি নানান তৈজসপত্র। তবে মেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়টি হলো নানা রকমের রঙিন বাঁশি। পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে কুমিল্লার দুই বাঁশি পল্লী শ্রীমদ্দী ও বৈরাগী পাড়ায় বাঁশি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাঁশি শিল্পীরা। কুমিল্লার এসব বাঁশি বৈশাখে পৌছে যায় সারা দেশে। কুমিল্লার হোমনায় শ্রীমদ্দী গ্রাম আর সদর উপজেলার সংরাইশের বৈরাগী পাড়া। বাঁশির মায়াবী সুরে যে দুই পল্লী দিবানিশি থাকে ব্যস্ত। বাঙালির প্রাণের উৎসব বৈশাখীর আগমনী হাওয়ার মাস দুই পূর্ব থেকেই বেড়ে যায় এ বাঁশি পল্লীর ব্যস্ততা। এখন শেষ মুহূর্তে তাঁদের ব্যস্ততা এতো বেশি যে দম ফেলার সময় নেই। কেউ বাঁশি বানাচ্ছেন, কেউ বাঁশির শেষ পর্যায়ের প্রলেপ দিচ্ছেন। কেউ বাঁশির আটি বানছেন। কেউ পাইকারের সাথে করছেন দর কষাকষি। নববর্ষ ঘিরে বাঁশি তৈরিতে ব্যস্ত কুমিল্লার শ্রীমদ্দী ও বৈরাগী পাড়ার বাঁশি পল্লী। কাঁচা মুলি বাঁশকে কেটে শুকিয়ে মাপমতো ফর্মায় বসিয়ে বাঁশির প্রথম কাঠামো করা হয়। পরে বিভিন্ন মাপের ছিদ্র করে এবং আগুনে পুড়িয়ে নকশা তুলা হয় বাশির গায়। সবশেষে বার্ণিশ করে বাঁশিকে করা হয় আকর্ষনীয়। বাঁশির মধ্যে রয়েছে নানা প্রকারভেদ, তবে বৈশাখী মেলায় মোক বাঁশি, আর বাঁশি, রঙিন বাঁশি, ভীন বাঁশি ও বেলুন বাঁশির কদর থাকে বেশি। যুগ যুগ ধরে বংশ পরম্পরায় তারা এ শিল্পটি ধরে রাখলেও আধুনিক প্রযুক্তির নানা প্লাষ্টিক বাঁশি ও ভোবোজেলার আগ্রাসনে বাঁশের বাঁশির কদর কমায় অনেকেই ছাড়ছেন পূর্বপুরুষের পেশা। সরকারী অনুদান না পেলে এই শিল্পটি এক সময় বিলুপ্ত হবে বলছেন বাঁশি শিল্পীরা।
