কালুরঘাট সেতু প্রস্তুত, কি দেখবেন কক্সবাজারের পথে পথে। মাত্র 2.5 ঘন্টায় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার। A great achievement of Bangladesh.

কালুরঘাট সেতু ব্রিটিশ আমলে নির্মাণ করা কর্ণফুলি নদির উপর নির্মিত শত বর্ষের পুরাতন সেতু। এত দিন এই সেতু দিয়ে ট্রেন চলত পাশাপাশি একমূখী গাড়ি ও চলত। দোহাজারী থেকে কক্স বাজার রেল লাইনের কাজ চলাকালীন সবার মনে প্রশ্ন ছিল কিভাবে শতবর্ষের এই সেতু দিয়ে আধুনিক ট্রেন কক্সবাজার যাবে। রেল লাইনের কাজ শেষ হওয়ের শেষ পর্যায়ে নিয়েওগ দেয়া হয় বুয়টের পরামর্শক দলকে। তাদের পরামর্শ বরাদ্দ হয় ৬০ কোটি টাকা। শুরু হয় মেরামতের কাজ । এখন শেষ পর্যায়ে মেরামতের কাজ। শুরু হয় ট্রায়াল।

চট্টগ্রামের সেতু দিয়ে ট্রেনের তিনটি ইঞ্জিনের ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (৪ নভেম্বর) তিনটি ভিন্ন সিরিজের ইঞ্জিন দিয়ে এ ট্রায়াল রান সম্পন্ন করা হয়। ইঞ্জিন তিনটি শহর থেকে বোয়ালখালী অংশে যাতায়াত করে। এতে প্রাথমিকভাবে কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়নি।

কালুরঘাট সেতুর ট্রায়াল

কালুরঘাট সেতুটির আগের এক্সেল লোড ছিল ১১। দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধনের আগে সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত ১ আগস্ট থেকে সেতুটির সংস্কার কাজ শুরু হয়। বর্তমানে কাজ শেষ পর্যায়ে, এখন সেতু দিয়ে ১৫ এক্সেল লোডের ইঞ্জিন চলাচল করতে পারে। শনিবার ২২০০, ২৯০০ ও ৩০০০ সিরিজের তিনটি ইঞ্জিন কালুরঘাট সেতু দিয়ে শহর থেকে বোয়ালখালী অংশে যাতায়াত করে।

বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী কালুরঘাট সেতুটি সংস্কার করা হয়েছে।কালুরঘাট সেতু পরিদর্শন করেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পর্যবেক্ষক দলের প্রধান এ এফ এম সাইফুল আমিন, অধ্যাপক খান মাহমুদ আমানত ও আবদুল জব্বার খান।তাঁরা সেতু পরিদর্শন করে রেলওয়ের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর সেতুর সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে বুয়েটের কাছ থেকে কারিগরি সহায়তা নিয়েছে রেলওয়ে।

সেতুটি মেরামতের জন্য ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।

কক্সবাজারের পথে পথে

কক্সবাজার রেল লাইন হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যতিক্রম রেল লাইন। চট্টগ্রাম থেকে এই পথ দিয়ে পথ দিয়ে আপনার চোখে পরবে করস্রোতা কর্ণফুলী নদী। প্রবল স্রোতের মধ্যে দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা জাহাজগুলো আপনাকে মুগ্ধ করবেই। এরপর যেতে যেতে আপনার সামনে আসবে বোয়ালখালি পটিয়া চন্দনাইশের শান্ত ও সবুজ গ্রামগুলো । এর পর দৃষ্টিনন্দন দোহাজারি রেলস্টেশন ও পাহাড় থেকে নেমে আসা অপরুপ সাঙ্গু নদী।

সাঙ্গু পার হলেই সাতকানিয়ার বিস্তির্ণ বিল । পূর্বের দিগন্তে দেখা মিলবে বান্দরবানের দাঁড়িয়ে থাকা উচু উচু পাহাড়গুলো। সাতকানিয়া পার হলেই আপনাকে মুগ্ধ করবে চুনতির সংরক্ষিত বনাঞ্চল। দুপাশে বিস্তির্ণ পাহাড়। পাহাড়ের বুক ছিড়ে চলে গেছে রেল লাইন। হাতি পারাপারের জন্য আছে ওভারপাস। এর পর আপনি দেখতে পাবেন পাহাড়ের রুপসি কন্যা মাতামুহুরী। চোক জুড়ানো পাহাড়। আরেকটু পেরোলেই চলে আপনাকে স্বাগত জানাবে জিনুক আকৃতির কক্সবাজার রেলস্টেশন।

Read more: কালুরঘাট সেতু প্রস্তুত, কি দেখবেন কক্সবাজারের পথে পথে। মাত্র 2.5 ঘন্টায় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার। A great achievement of Bangladesh.

আয়কর রিটার্ন তৈরীর সহজ কৌশল।

অনলাইনে ট্যাক্স দিতে ক্লিক করুন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *